Joynal abedin biography of donald
জয়নুল আবদিন ফারুক
জয়নুল আবেদীন ফারুক | |
---|---|
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।-২০২৪ | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ২০০১ | |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২০১৩ | |
জন্ম | (1949-12-10) ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৫) নোয়াখালী জেলা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
যুদ্ধ | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
জয়নুল আবদিন ফারুক (জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং নোয়াখালী -২ ও নোয়াখালী -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। [১][২] তিনি ধারাবাহিকভাবে ১৯৯১ সালে পঞ্চম, ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ, ১৯৯৬ সালে জুন মাসে সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম ও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মোট ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। [৩][৪][৫][৬][৭]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]জয়নুল আবদিন ফারুক ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। [৮]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]জয়নুল আবদিন ফারুক ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালে বিরোধী দলের চীফ হুইপ নিযুক্ত হন। ২০১১ সালের জুলাই বাংলাদেশ সংসদের কাছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য দ্বারা আহত হন। [৯] ফারুক জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারীরা এই ঘটনার জন্য ফারুককে দোষারোপ করে একটি মহানগর হাকিম মোহাম্মদ হাসিবুল হককে জমা দেওয়ার পরে মামলাটি বরখাস্ত করা হয়েছিল। [১০]
পুলিশী হয়রানি
[সম্পাদনা]২০১১ সালে পুলিশের হামলা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের ৬ ও ৭ জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) হরতাল আহবান করে। প্রথম হরতাল চলাকালে মানিক সংসদ ভবনের সম্মুখভাগে বিরোধীদলের চিফ হুইপ ফারুকসহ দলীয় সংসদ সদস্যরা মিছিল করেন। এ সময় পুলিশ মিছিল করতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে কথাকাটির এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ এবং সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলেশ কর্মকর্তার সংসদসদস্যকে মারধর শুরু করে এবং বুটপরা পা দিয়ে লাথি মারে। তারা লাঠি ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটাতে শুরু করলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে পড়েন ও প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দেন।[১১]
বিএনপি’র সংসদ সদস্য এ ঘটনায় ঐ দিন মামলা করতে গেলে বিএনপির সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজাম থানায় মামলা করতে গেলে তাঁকে থানার ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলা খারিজ করে দেয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক সহ ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।[১২][১৩][১৪]
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯শে আগস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন জয়নুল আবদিন ফারুক। এতে হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারকে আসামী করা হয়। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ২০৬, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলা করা হয়।[১৫]
২০১৩ সালে গ্রেপ্তার
[সম্পাদনা]সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে ফারুককে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। [১৬]বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের অভিযোগে দুটি মামলায় তাকে সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে জামিন দেওয়া হয়েছিল। [১৭] তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা । [১৮]